নাটোর নিউজ: সপ্তাহ না পেরুতেই নাটোর সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরেছে। গত ১৭ জুলাই হাসপাতালটির করোনা ওয়ার্ডে রোগীর স্বজনদের অবাধ যাতায়াতসহ নানা অব্যবস্থাপনা নিয়ে যমুনা টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার হয়। ওই সংবাদে করোনা ওয়ার্ডে অবাধ যাতায়াত এর ফলে রোগ দ্রুত ছড়ানোর আশংকা প্রকাশ করা হয়। এবং এবিষয়ে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সচেতন সমাজ দাবি তোলেন।
এর প্রেক্ষিতে ঐদিনই বিষয়টি করোনা প্রতিরোধ কমিটির জুরুরী ভাচুর্য়াল সভায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দ্রুত ব্যবস্থা নেবার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রতি আহবান জানান।
পরে নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এবং নাটোর ০২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা হাসপাতালে গিয়ে করোনা ওয়ার্ডে সবার যাতায়াত বন্ধ করে দেন।
কিন্তু সপ্তাহ না পেরুতেই হাসপাতাল কতৃপক্ষের উদাসিনতায় করোনা ওয়ার্ড পূর্বের অবস্থায় ফিরেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রোগীর স্বজনদের অবাধ যাতায়াতের দৃশ্য ধারণ করতে গেলে যমুনা টেলিভিশনের সংবাদ কর্মীদের উপর চড়াও হন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার মাহমুদুর রহমান এবং নাটোরের গুরুদাসপুরের মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আলী আহমেদ।
খবর পেয়ে জেলা পুলিশ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে রোগীর স্বজনদের করোনা ওয়ার্ডে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেন। এসময় সংবাদ কর্মীদের উপর চড়াও হবার জন্য ক্ষমা চান দুজন। তবে বার বার সচেতন করার পরেও মানুষ সচেতন না হওয়ায় উব্দেগ প্রকাশ করেছেন সচেতন সমাজের প্রতিনিধিরা।
তবে হাসপাতাল কতৃপক্ষের উদাসিনতা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবেনা বলে হুশিয়ারি দেন সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল। কিন্তু হাসপাতাল কতৃপক্ষ জনবল সংকটসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। চিকিৎসক সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মিরা নিজেরাই করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন এই অব্যবস্থাপনার কারনে। কি করে এই সংকট উত্তরণ হবে ? এ্টাই এখন দেখকার বিষয়।