মধ্য রাতের বৃষ্টি
মনির জামান
তোমার ভেতরে ছিল শিখর স্পর্শের উদ্দামতা
তুমি মেঘ হয়ে উড়ে যেতে চাইলে,
বাঁধা দেয়ার মতো ছিল না আমার প্রশস্ত বুক
ছিল কেবল জীর্ণ দুঃখের স্তুপ।
বধির পায়ে তাল ছিল না;
হাত দু’টিরও দৃষ্টি
বলি বলি করে কোনোদিন বলাই হয়নি
ভেজাতে তোমাকে আমি হতে চেয়েছিলাম
ম
ধ্য
রাতের
বৃ
ষ্টি!
এখনও তবু চোখের সায়রে সঞ্চিত জল ঢাকি
আকাশ কখনও মেঘে ঢাকলেই তোমার ছবিটি আঁকি।
পুজোর ঘটের পাশে
মনির জামান
শস্যশূন্য বর্ষাকালীন মাঠে
রক্তচোষা মাছিরা দল বাঁধে,
ভনভনিয়ে কার জয় গাঁথা সাধে?
পশুজাত যত নিজের শরীর চাটে।
বিভৎস এক যুদ্ধ ঘাসের মূলে
দীর্ণ বুকের আহাজারি কানে আসে,
খণ্ডিত শির পুজোর ঘটের পাশে
তুমিই দেবী? ঘরপোড়াদের চড়াচ্ছো যে শূলে!
মায়াবী শকুন দূর চোখে ওৎ পাতে
দিব্য নয়; তাঁর চাহনি সর্বগ্রাসী,
সংসারী নদীরা হঠাৎ বনবাসি
আমাদের কেবল ব্যয় বাড়ে সব খাতে!
চলতি পথে হোঁচট খেয়ে পড়ি
তোমার উপহার আকাশ হয়ে ভাঙে,
যাদের পাড়া ঝাড়বাতি রঙে রাঙে
তোমার ও হাত তাঁদের শিরঃপরি!
বুকের খাঁচার নগন্য সেই পাখি
আতঙ্কিত হীন পিশাচের সমুখে,
মাঝরাতের ঐ দর্প-দংশন রুখে
নিশ্চয় নির্বেদ যাতনা দেবে ঢাকি।