চেয়ারম্যানের হয়ে কাজ না করায় যুবককে হত্যার হুমকির অভিযোগ!
নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া এলাকার নাইম হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে হত্যার হুমকি ও চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম মৃধার বিরুদ্ধে। চেয়ারম্যানের হয়ে কাজ না করায় এই হুমকি দেয়া হয় বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর মা।
সিংড়া থানায় দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২ জুন বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম মৃধা ও তার ভাই রমিজুল ইসলাম মোঃ জলিল নামে স্থানীয় একজনকে শিবপুর গোরস্থান মোড়ে পথরোধ করে। এসময় জলিলের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, রাজনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য জলিলের ভাগনে নাইমকে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। অন্যথায় এলাকায় বসবাস করতে হলে তাদের নগদ দুই লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। এছাড়া নানা উস্কানীমূলক কথাবার্তা বলে চলে যায় চেয়ারম্যান ও তার ভাই।
এরপর গত ৫ জুলাই চেয়ারম্যান ও তার ভাইসহ আরও ৭ থেকে ৮ জন মোটর সাইকেল যোগে পাঙ্গাশিয়া এলাকায় নাইমের বাড়িতে এসে টাকা দাবী করে। সেই সাথে পিস্তল দেখিয়ে নাইমের মা জোসনা বেগমকে নানা হুমকি প্রদান করে তার ছেলেকে তাদের সাথে রাজনীতি করতে বলে। না হলে নাইমকে যেখানে পাবে, সেখানে মারপিটসহ হত্যা করা হবে বলে শাসিয়ে চলে যায়।
অভিযোগকারী জোসনা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে নিজের সাথে নিতে চেয়ারম্যান মরিয়া হয়ে গেছে। নিজের পক্ষে নিতে না পেরে এখন চাঁদা চাইছে। পিস্তল নিয়ে বাড়িতে এসে ছেলেকে মেরে ফেলবে বলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। চেয়ারম্যানরা খুবই প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা খুবই নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ চাই। সেই সাথে ন্যায় বিচার পেতে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে চামারী ইউপি চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম মৃধা জানান, পূর্বের পারিবারিক বিরোধের জের ধরে জোসনা বেগম নামে একজন মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। আমি চেয়ারম্যান মানুষ। আমার কি টাকার অভাব? চাঁদাবাজি ও হুমকি ধামকির মতো অভিযোগ ভিত্তিহীন। এলাকায় আমার সম্মান আছে। আমাকে বিতর্কিত করতেই এমন অভিযোগ করা হচ্ছে। আমার দাবী পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে অভিযোগ যদি মিথ্য প্রমাণিত হয়। তাহলে মিথ্যা অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিংড়া থানার এ.এস.আই ছানোয়ার হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। শনিবার সরেজমিনে তদন্ত করতে যাবার কথা ছিল। শরীর খারাপ থাকায় যেতে পারিনি। দুএকদিনের মধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর এ আলম সিদ্দিকী জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।