ব্যালাড
সুবীর সরকার
জন্মদিনের পোশাক পরে হাসতে হাসতে আমার
কবিতায় ঢুকে পড়লে তুমি
এরপর থেকে অর্গান বেজেই চলছে
করা যেন লিখতে শুরু করেছে স্টোরি অফ
সেগুনবাগিচা
পাটচাষী পানশালায় ঢুকলে ঝুপ করে বিকেল
ফুরিয়ে যায়
আমার কবিতায় তুমি আছো
আমার কবিতায় একটা দশ বাই বারো ফুটের
ঘর ঢুকে পড়ে
ঢুকে পড়ে কাঠের জানালা, বৃষ্টির
ম্যাজিক
ছবি আঁকছে মরা ইঁদুরের চোখ
ভরা বাজারের আখ্যান লিখি
মুখস্থবিদ্যার মত এই জীবন
চোরা ঢেকুরের মত এই জীবন
ঘুম ভাঙলেই আমাকে তাড়া করবে বারোকোদালীর রাস্তা
আমার দিকে ছুটতে শুরু করবে শিকারীলাইনের
হাতি
খ্যাতি আসলে দুরারোগ্য অসুখের ডাক নাম
হালকা কাশি নিয়ে খাসা কেটে যাচ্ছে
জীবন
তেঁতুলগাছের নিচে আবিষ্কার করি স্তব্ধতা
স্তব্ধতার পাশে পেইনকিলার
কচু পাতার জল চেটে খাই আমি
আগুনে পুড়িয়ে ফেলি দুই হাত
তুমি ঢুকে পড়ছো সাংঘাতিকভাবে আমার
কবিতায়
মাঝে মাঝে শূন্যতা ঢুকে পড়ছে আমার
কবিতায়
এখন কর্কট রাশির মেয়েরা নাচ করবে
আমাদেরকে সরে যেতে হবে সাইলেন্স জোনের
দিকে