সম্পর্ক
দেবব্রত সুবীর
আমাদের জন্ম হয়েছিলো মাটিতে
জন্মই কিছু সম্পর্ক সৃস্টি করলো
মৃত্যুর সুধা পান করে ফিরে যাবো মাটিতে।
চলো তার আগে কিছু সম্পর্কের
চাষ আবাদ করি।
পিতা মহের আবাদে পিতার হাতধরে
শুরু হয়েছিলো যাএা।
বয়সের ভারে পিতা এখন ঋজু
আমারই আবদের প্রান পুরুষ হিসেবে
চাষ আবাদের সম্পর্ক করছি।
এখনে বীরত্বের কিছুই নেই
সময়ের পথ ধরে পৃথীবির জন্য
নতুন ফসলের সৃষ্ট করবো।
যেমন করে পূর্ব পুরুষেরা কাঁধ তুলে দিয়েছিলো
জোয়াল, অজস্র মায়াময় সম্পর্ক
পেছনে ঠেলে ঠেলে
উপরে উঠ আসছি আমরা,
গন্তব্য হীন পথে নিরন্তর চলেছি।
মানুষের কোলাহল
ঝি ঝি পোকার ডাক
এসব সম্পর্কের কোন মানে হয়নি।
জন্মের অন্ধকার ঠেলে পৃথিবীর
বুকে একটার পর একটা সম্পর্কের বোঝা
আমাদের ভারি করে দিয়েছে।
আমরা হারাচ্ছি আমরা হেরেযাচ্ছি।
অন্ধকারের পথে পথে
আলোর চাষে নতুন সর্ম্পকের বীজ
হতে চলেছি,
নতুন মাটিতে,
পৃথিবীর খুউব কাছে।
দেবব্রত সুবীর
১৬/০৬/২১
ভাবনা
দেবব্রত সুবীর
রাজার ও অধিক ভাবনায় আজ
চোখটাই শুধু পুড়ে
পেটের ক্ষুধারা মনের ক্ষুধারে
কেবলি ভ্রুকুটি করে।
এ জীবনে আর হল নাকো জয়,
শুধুই নিরবে বাঁচা।
কথা হবে নাকো নিরব দৃষ্টি
সুনিপুণ ছবি আঁকা।
সুখ পেতে আজ দুরে গেল ভাই
স্বজন না রহিলো কেউ।
পিছুটানেরা ও পালালো কোথায়
জীবনের পিছু পিছু।
একথাই যেন সুন্দর আজ,
একা মরে বেঁচে যাওয়া।
সুন্দর কোথা খুজো নাকো আর,
জীবন পুড়ে যে খাক।।
দেবব্রত সুবীর
২৪/০৬/২১
গেম
দেবব্রত সুবীর
মহামান্য
ভাবলেন দেশে কোন কাক রাখবেন না
দেশ এখন ঝকঝকে কি দরকার
কাকের মত প্রাণীকে বাঁচিয়ে রেখে,
সব মেরে দাও।
দেশে আর কোন কাক রইলো না।
কি হবে এখন?
ময়ুর এর চাষ করতে হবে
হাইব্রিড ময়ুর তৈরী হলো
দেশ সৌন্দর্যময় হয়ে উঠলো।
তিনি যা ভাববেন সে ভাবেই চলবে,
চলুক, আমরা কান বন্দক দিলাম।
এত এত গরীব কৃষক রেখে
কি লাভ মাথায়ই আসছে না।
কিন্তুু কাকের মতো প্রকাশ্য তো
সত্যিকার মানুষ মারা যায় না।
সভ্যগন খুবই চিন্তায় পরে গেলেন
এত এত বুদ্ধি কিন্তুু কার্যকরী সিদ্ধান্ত
এবং কৌশল ঠিক করা যাচ্ছে না।
কেউ পরামর্শ দিলো আমরা
বিদেশে থেকে জিবানু এনে সব মেরে দিই,
সভ্যগন দ্বিমত পোষন করলেন।
আগে তো আমাদের উৎপাদন ঠিক করতে হবে
তারপর পরিকল্পনা করতে হবে।
এবং বাস্তবায়ন করতে হবে।
সভ্যগন বিদেশ গিয়ে বড় বড় খামার
পরিদর্শন করে তাদের যন্ত্র পাতি দেশে
নিয়ে আসলেন এবং
সেগুলো পরীক্ষা করতে লাগলেন।
মহামান্য কিছুই বলছেন না
তিনি দেখছেন এবং ভাবছেন, সভ্যগন অস্হির
কোন সিদ্ধান্ত আসছে না,
ঘটনা কিভাবে মঞ্চায়ন হবে
সেটাই মুল বিষয় হিসেবে দাঁড়ালো।
এরা তো এখন ধর্মের জন্য
মুহুর্তেই প্রাণ দেয়,
বিঙ্গ সভ্য বলে উঠলেন একটু সময় দিন
জনাব, বলছি বলছি
সবাই তো অধীর আগ্রহ নিয়ে চুপ করে রইলেন,
মহামন্য এবারও কিছুই বলছেন না,
শুধু বললে ও গুটিতে খুব রিস্ক
খেলতে পারলে কাজে দেবে,
তবে আগুন নিয়ে খেলতে গেলে পুড়তে হয়।
স্লো পয়জনিং আর নিরব ক্ষুধা দিয়ে
মেরে ফেলাই ভালো,
তাতে গরীব ও মরবে আমরাও টিকে থাকবো
শুধু সত্যি খবর টা বন্ধ করে দিলেই হল।
আল্প কয়েক বছরেই
আকাঙ্ক্ষিত ফাঁকা গ্রাম
দেখতে পাওয়া গেল।
দেশে বড় বড় খামার গড়ে উঠলো
ঝকঝকে কাঁচের মতো দেশ হয়ে উঠলো,
মহামন্য
ইজি চেয়ারে বোসে দুলতে থাকলেন।
আমরা,
শুধু ভুলে গেলাম
আমাদের পূর্ব পুরুষেরা,
গরীব কৃষক ছিলো।
দেবব্রত সুবীর
২৪/০৬/২১
অমরত্ব
দেবব্রত সুবীর
একরাশ অনুভূতি কে ধোঁয়ায় উড়িয়ে দিয়ে
ভালোবাস র আগুন কে হাতে জ্বলিয়ে
খুব অন্ধকারের ভেতরে বেঁচে আছি।
যেখানে জীবন কথা বলছে না,
অভাব তার বিশাল অমরত্ব নিয়ে
গ্রাস করছে আমাদের
এক একটি প্রজন্ম কে।
পৃথিবীতে আমরা কিছুই পারিনি
ফসলের মাঠে
ক্ষুধার অভাব হানা দেয়।
নিজেদের ভেতরে আমরা অভাবের বীজ
বপন করলাম
এবং পরবর্তী প্রজন্মে ছড়িয় দিলাম।
এভাবেই আমরা
অমরত্বের শ্রেষ্ঠ আসন দিলাম অভাব কে।
মরে গিয়ে সবাই হারিয়ে যায়
শুধু বেঁচে থাকে
অভাবের অমরত্ব।
দেবব্রত সুবীর
২০/০৬/২১
প্রেম
দেবব্রত সুবীর
প্রেম বাঁচে না
যা বেঁচে থাকে তা মরিচিকা,
হারিরে গিয়েই মহান হলো প্রেম।
না পাওয়াটাই
শুধু বুকের ভেতরের কান্নাকে
নিরবে ভালোবাসলো।
সময়ের প্রলেপ জলন্ত স্মৃতিকে
ব্যস্ততায় আড়াল করলো।
প্রেম ভারি হয়ে
যায়, প্রত্যাশার যোগ
বিয়োগে রুপান্তরিত হয়।
যাপিত জীবনে সমাজ তার
বড় শক্ত এক শৃঙ্খল নিয়ে বোসে থাকে।
বন্দি বন্দি খেলবে বলে।
প্রেম খেলায় কেউ জেতেনা।
হাহাকার নিয়ে
নিভৃতে
হৃদয়ে বেঁচে থাকে প্রেম।
দেবব্রত সুবীর
১৯/০৬/২১