গত ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি দেশব্যাপী দলীয় কর্মসূচি ছিল। কেন্দ্রীয় ওই কর্মসূচি পালনের জন্য তৎকালীন বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ নুর বাবুর নেতৃত্বে বনপাড়া বাজারে মিছিল বের হলে হামলা চালায় সেখানকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর প্রকাশ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুকে পিটিয়ে জখম করে হামলাকারীরা।
এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাবুর স্ত্রী মহুয়া নুর কচি বাদী হয়ে পরের দিন ৯ অক্টোবর ২৭ জনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীকালে আদালতের মাধ্যমে সংযোজনের আদেশ নিয়ে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করা হয়। এদের মধ্যে বাদশা নামে এজাহার নামীয় একজন আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন। মামলাটি ইতোপূর্বে ৮ জন কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন। তিনি এই মামলার ৯ম কর্মকর্তা ছিলেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হাই সরকার বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে প্রাপ্তবয়স্ক ৪১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ৩ জনের বিরুদ্ধে দোষীপত্রসহ সর্বমোট এজাহার নামীয় ৪৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে আদালত।
এদিকে মামলার বাদী মহুয়া নুর কচি নাটোর নিউজকে জানায়, দীর্ঘ সময় পরে হলেও মামলার চার্জশিট জমা দেওয়ায় আমি সিআইডির কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি আদালতের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
জানা যায়, বিএনপি নেতা সানা উল্লাহ নুর বাবু ২০০৬ সালের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। পরে ২০০৮ সালে তিনি মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ২০০৯ সালে বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।