বড়াইগ্রাম, নাটোর,নিউজ:
বছর তিনেক আগে দীর্ঘ ৫ কি.মি. সড়কটি পুনঃসংস্করণ করা হয়েছে। গ্রামীণ এই সড়কটিতে ভ্যান-ইজিবাইক ছাড়া কোন ভারী যান চলাচল করে না। সড়কটি এখনও ঝকঝকে-চকচকে। তারপরেও এলজিইডি’র অর্থায়নে ১ কোটি ৫৯ লক্ষ ৩১ হাজার ৩৭৪ টাকা ব্যয়ে সড়কটির পুনঃসংস্করণের কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার। যা রীতিমতো সরকারের টাকা অপচয় করার মতো ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।
নাটোরের বড়াইগ্রামের জোয়াড়ি ইউপি হাইওয়ে সড়ক মোড় হতে ওয়ালিয়া ভায়া রামাগাড়ি হাট রোড পর্যন্ত ইউনিয়ন সড়ক নির্মাণের আওতায় এলজিইডি এই কাজে দরপত্র আহ্বান করে বছরের শুরু দিকে। পরবর্তীতে গত ৯ মে এই কাজের কার্যাদেশ পান নাটোরের মেসার্স এমএন ট্রেড নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। শনিবার সকালে সড়কটি সরেজমিনে গেলে রামাগাড়ি অংশে দেখা যায়, শ্রমিকরা একপাশে এজিং তুলছে এবং তা ট্রাক্টরে উঠিয়ে নিচ্ছে। দেখা গেছে, এজিং এর একটি ইটও নষ্ট বা ভেঙ্গে যায়নি।
শ্রমিকরা জানায়, এই ইট ভেঙ্গে খোয়া বানানো হবে। অপরদিকে জোয়াড়ি কুমুল্লু অংশে দেখা গেছে সড়কের দুই পাশে এজিং করা হয়েছে এবং কার্পেন্টিং তুলে ফেলা হয়েছে। তবে এজিং সড়কের বেডের চেয়ে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি নীচে রয়েছে। সড়কের বেড যথেষ্ঠ মজবুত রয়েছে। সড়কটিতে উল্লেখযোগ্য কোন সমস্যাই চোখে পড়েনি।
এক্ষেত্রে স্থানীয়রা কয়েকজন জানায়, দুই একটি স্থানে যতটুকু নষ্ট দেখেছি তাতে সর্বসাকুল্যে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় করলেই চলতো। নতুনভাবে পুনঃসংস্করণ করে এতো টাকা ব্যয় করার কোন প্রয়োজনই ছিলো না। এই কাজে সরকারের টাকা জলে যাবে পক্ষান্তরে আকাশচুম্বি লাভবান হবেন ঠিকাদার। এতে এলজিইডি’র কর্মকর্তারাও লাভবান হবে বলে সরাসরি ইঙ্গিত দেন তারা।
স্থানীয়রা আরও জানান, জোয়াড়ী ইউনিয়নে এখনও অনেক কাঁচা সড়ক রয়েছে, যা পাকাকরণ জরুরী। অনেক এলাকাতে পাকা সড়ক রয়েছে যা সংস্কার করা অতীব জরুরী। সেগুলো না করে সুস্থ সড়ক কেন সংস্করণ করা হচ্ছে তা বোধগম্য হচ্ছে না। এটা সরকারের টাকা গচ্ছা দেয়া ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এই সড়কের টাকা এভাবে অপচয় না করে অন্যান্য কাঁচা সড়ক পাকা করার দাবি জানান।