গুরুদাসপুর নাটোর নিউজ : “মশিন্দা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কান্ড-পুরোনো টয়লেট সংস্কার করে নতুন টয়লেটের বিল দাখিল” শিরোনামে দেশের বিভিন্ন স্থানীয় জাতীয় ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ৪ নং মশিন্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। শনিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব থেকে শুরু করে সকল ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কাছিকাটা বাজারের গণশৌচাগার(টয়লেট) নতুন নির্মাণের জন্য নয়, সংস্কারের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের উপজেলা পরিষদের রাজস্ব উদ্বৃত্ত(উন্নয়ন) তহবিল থেকে। উপজেলা পরিষদের নভেম্বর-২০২০ মাসের সাধারণ সভায় সংস্কারের বিষয় উপস্থাপনও হয়। তাছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশ খাতায় ও লেখা আছে সংস্কার কাজ। বরাদ্দের চেয়ে বেশি টাকা খরচ করে পুরোনো টয়লেটটি সংস্কার করা হয়েছে। ইউপি সচিবের পরামর্শে ওই প্রকল্পের সভাপতি হয়েছিলাম।
উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে রাজনৈতিক বিরোধ থাকায় বিলটি আটকে দিয়েছেন তিনি। উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন দাবি করছেন কাজটি নতুন নির্মাণ করার কথা। কিন্তু আমরা সংস্কারের বরাদ্দই পেয়েছি। গণশৌচাগারটি নির্মাণ নয় সংস্কারের কথাই উল্লেখ্য রয়েছে দরপত্রে। সংস্কার কাজের কোন রকম ত্রুটি হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা সার্বক্ষণিক কাজ দেখেছেন এবং সকলেই প্রশংসা করেছেন। শুধু মাত্র আমার সুনাম ক্ষুন্য করার জন্য এক শ্রেণীর মহল এই কাজগুলো করছেন।
নির্মানকাজের সাথে সংশ্লিষ্ট উপসহকারি প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, টয়লেটটি সংস্কার কাজ। আর এ কাজের বরাদ্দ অনুযায়ী অনেক ভালো হয়েছে।
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন জানালেন, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের উপজেলা পরিষদের রাজস্ব উদ্বৃত্ত (উন্নয়ন) তহবিল থেকে উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের কাছিকাটা বাজার গোডাউন সংলগ্ন মাঠে নতুন একটি টয়লেট নির্মানের জন্য ২ লাখ টাকার একটি প্রকল্প দাখিল করেন চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান।’ উপজেলা পরিষদের সভায় (২৬-১১-২০২০) প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।বিধিমোতাবেক টয়লেটটি নির্মানের জন্য সরকারের সাথে চুক্তিও সম্পন্ন করেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান।
গত ৪মে নির্মান কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু বিধিভঙ্গ করে পুরোনো টয়লেটটি সংস্কার করে গত ২৪ জুন বরাদ্দের টাকা উত্তোলনের আবেদন জানিয়ে বিল দাখিল করেন চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিলটি আটকেদেন উপজেলা চেয়ারম্যান। অনিয়মের অভিযোগটি আমলে নিয়ে বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চক্তিপত্র থেকে শুরু করে সকল ধরনের কাগজ আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।