লকডাউন-শাটডাউনের বিকল্প কী?
আমীন আল রশীদ
লকডাউন অথবা শাটডাউন যাই বলেন, তার চেয়ে বেটার অপশন আমাদের খুঁজতে হবে। কারণ গত এক বছর ধরে তো দেখছি এগুলো সেভাবে কার্যকর হয় না। বাস্তবিক কারণেই হয় না। একটা উদাহরণ দিই। আমার বাসা থেকে অফিসের পথটুকু বেশি নয়। এই পথেই এখনও আমার ধারণামতে ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ মুখে মাস্ক না পরেই রাস্তায় চলাচল করেন। ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি আরও খারাপ।
সকালে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের লাইভে রিপোর্টার বললেন, সেখানে পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। তারপরও মানুষের মধ্যে কোনো বিকার নেই। মাস্ক পরে না। গবেষণাও বলছে, শুধু ঠিকমতো মাস্কটা পরলেই করোনার ঝুঁকি ম্যাক্সিমাম মোকাবেলা করা যায়। কিন্তু তারপরও মানুষ নানা অজুহাতে মাস্ক পরে না। অতএব রাস্তায় মাস্ক ছাড়া লোক দেখলেই, তাতে তার পরিচয় ও বয়স যাই হোক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত হবে গণহারে পিটানো। কিছু সমালোচনা হবে৷ হোক। এটা মেনে নিয়েই পিটানোটা অব্যাহত রাখতে হবে।
সপ্তাখানেক এটা করা গেলে আর লকডাউন বা শাটডাউন লাগবে না। কিন্তু লকডাউন বা শাটডাউন–যে ডাউনেই যান না কেন, তার অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলানো যাবে না। লাখ লাখ দিনমজুরের বাড়িতে খাবার পৌঁছাবে না। সেই ম্যানেজমেন্টও আমাদের নেই। লকডাউনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাষ্ট্র সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সহায়তা দেয় না। সব ক্ষতি পোষানোও যায় না। অতএব লকডাউন বা শাটডাউনের বিকল্প নিয়েই ভাবতে হবে।