আল-আফতাব খান সুইট বাগাতিপাড়া, নাটোর নিউজ: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের পরে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া অভিযোগ উঠেছে স্বামী ইকবাল হাসানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে স্ত্রী কানিজ ফাতেমা নিজেই বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বরে ১লাখ টাকা (১,০০০০০) দেনমোহরে বাগাতিপাড়া উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত কোরবান আলীর ছোট ছেলে ইকবাল হাসান (৩১) এর সাথে উপজেলার ঠ্যাঙ্গামারার মোঃ আঃ মজিদের মেয়ে কানিজ ফাতেমার (২৮) বিয়ে হয়। এ সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে নগদ ২ লক্ষ টাকা এবং ১২৫ সিসির একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল জামাইয়ের হাতে দেয় আঃ মজিদ। কিন্তু এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবী করতে থাকে ইকবাল ও তার পরিবারে লোকজন। এতেও ক্ষান্ত হয়নি ইকবাল ও তার পরিবার। আরো যৌতুকের জন্য মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি প্রায় শারীরিক নির্যাতন করে অভিযুক্ত স্বামী ইকবাল হাসান।
যৌতুক হিসাবে গত ১ জুন সকালে আরো ১ লক্ষ টাকা দাবি করলে ফাতেমা তাতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে (কানিজ ফাতেমা) শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে বাড়ির সমস্ত দরজায় বাহির থেকে তালা লাগিয়ে তারা পালিয়ে যায়। বর্তমানে সে বাবার বাড়িতেই আছেন (বাবা-০১৭৩৪২৩২৪৭৭)। বিয়ের পর থেকে এতো নির্যাতন সইতে না পেরে চারজনকে অভিযুক্ত করে বাগাতিপাড়া থানার একটি এজাহার দাখিল করেন নির্যাতিতা কানিজ ফাতেমা।
এ বিষয়ে জানতে বারবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ইকবাল হাসানের ফোন বন্ধ পাওয়া যায় (ইকবাল-০১৭৩৬০৪৪৬৩০)। তবে ফোনে কল করে কথা হয় তার বড় ভাই আব্দুস ছামাদের সঙ্গে। নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে সে বলে, ওই মেয়েকে (কানিজ ফাতেমা) তালাক দিয়েছে আমার ভাই। তার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। মেয়ের অনেক দোষ আছে সেজন্য তাকে তালাক দেওয়া হয়েছে। তার কাছে উকিল নোটিশও গেছে (আঃ ছামাদ-০১৭৭৪৫১২৬৫২)।
কিন্তু তালাকের কাগজ কিংবা কোনো উকিল নোটিশ তার কাছে আসেনি বলে জানান ভুক্তভোগী ফাতেমা।
যৌতুকের জন্য নির্যাতনের এজাহারে সত্যতা নিশ্চিত করে বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম বলেন, যৌতুকের জন্য নির্যাতনের এজাহারটি রেকর্ড করা হয়েছে। যার নং-১০। ভুক্তভোগীকে সম্পূর্ণ আইনি সহায়তা প্রদানে পুলিশ কাজ করছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।