বড়াইগ্রাম, নাটোর নিউজ: করোনা সংক্রমন ও মৃত্যু সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নাটোরের ৮টি পৌরসভা এলাকায় ৭ দিনের লকডাউনের দ্বিতীয় দিন চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বনপাড়া ও বড়াইগ্রাম পৌর এলাকায় লকডাউন কার্যকর করতে ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ প্রশাসনের সদস্যরা মাঠে রয়েছে।কেউ বিনা প্রয়োজনে বের হলে পুলিশের জেরার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
লকডাউনে যানবাহনসহ মানুষজনের চলাচল নিয়ন্ত্রণেও বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের টিম কাজ করছে। এদিকে লকডাউনে বনপাড়া ও বড়াইগ্রাম পৌর এলাকায় দোকানপাট বন্ধ থাকলেও জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বনপাড়া ও বড়াইগ্রাম পৌর এলাকায় শুধু ওষুধ ও ফলের দোকান এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকতে দেখা গেছে। লকডাউনে মানুষজনকে ঘরে রাখতে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। বনপাড়া ও বড়াইগ্রাম পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে রাস্তায় কেউ বের হলে তিনি পুলিশের জেরার মুখে পড়ছেন। পুলিশ তাদের বাড়িতে অবস্থান করতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, লকডাউন কার্যকর করতে মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।জীবনের মায়া ত্যাগ করে সরকারের নির্দেশনা ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে আমরা সদা প্রস্তুত আছি।প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।