বড়াইগ্রাম, নাটোর নিউজ: নাটোরের বড়াইগ্রামে সুদি মহাজনের সুদের টাকা শোধ করতে না পারা ও মহাজনের অব্যহত চাপ সহ্য করতে না পেরে শামীম হোসেন (২৬) নামের যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের আটুয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শামিম ওই গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, শামিম ৬ মাস আগে রাথুরিয়া গ্রামের মৃত পলান সরকারের ছেলে সেকেন্দার আলীর নিটক থেকে ১০ হাজার টাকা সুদে ঋণ নেয়। দুই মাসে ২ হাজার টাকা পরিশোধ করে। বাঁকী টাকা পরিশোধ করতে না পেরে মহাজনের চাপে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। সম্প্রতি বাড়ি ফিয়ে আসলে মহাজন আবারো চাপ সৃষ্টি করে। পরে উপায় না দেখে মঙ্গলবার সন্ধায় গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে বাড়ী সংলগ্ন মাঠে পড়ে থাকেন। স্বজনরা উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালেনিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মারা যায় শামীম।
নিহত শামীমের পরিবার অভিযোগ করেন, শামীম নানীর বাড়িতে পালিয়ে থাকা অবস্থায় ৫/৬ টি মটর সাইকেল নিয়ে এসে হুমকি ধামকি দেয় সেকেন্দারেরা। মা রানী বেগম বলেন, মহাজন বিভিন্ন ভাবে আমার ছেলেকে ধাওয়া করে। ভয়ে আমার ছেলে পালিয়ে ছিল, অবশেষে সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হলো।
স্থানীয় কাউন্সিলর দুলাল হোসেন বলেন, সেকেন্দার একজন সুদি মহাজন। ১০ হাজার টাকা সুদাসলে ২০ হাজার টাকা নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেকেন্দার রাজি হয় না হয়ে ৭০ হাজার টাকা দাবী করে আসছিলো।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কেউ থানায় অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।