রাজু আহমেদ, সিংড়া, নাটোর নিউজ: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, গত ১৫ মাসে অনলাইনের কারনে ৩৮ লক্ষ ই ফাউল সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়েছে। সরকার তৃনমলে আয় বর্ধক সম্পদ তুলে দিচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের কারনে অনেক কাজ সহজ হয়েছে। দীর্ঘ ৩৭ বছর কেনো চলনবিলে উন্নয়ন করতে পারেনি। আমরা পেরেছি। জনগন উন্নয়ন অবহেলিত ছিলো।
বিগত দিনে সংসদ সদস্যরা এলাকায় অবস্থান করতো না। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জনগন আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে এলাকার মানুষের উন্নয়ন করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। মসজিদ, মাদ্রাসা, ৩৮৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন হয়েছে। চলনবিলের আইন শৃংখলার উন্নয়নে কাজ করেছি। শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে জনগন সুফল পাচ্ছে। সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাসের সুবিধা পাচ্ছে। মানুষ ঘরে বসে প্রযুক্তির সেবা পাচ্ছে। সততা, জবাবদিহিতা ও সচ্ছতার সাথে কাজ করছি। সরকারের অনুদান যাতে যথাযথ ভাবে বন্টন হয় সে বিষয়ে আমরা সজাগ আছি। কেনো ধরনের অনিয়ম কে আমরা প্রশ্রয় দিবো না।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরো বলেন, সাড়ে ৩ লক্ষ মে টন খাদ্য শস্য সিংড়া থেকে উৎপাদন হয়। যা দেশের চাহিদা মেটায়। হাওর ও বিল এলাকার কৃষকের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। কৃষিতে বাণিজ্যিক করন ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন সরকার করে যাচ্ছে। সরকার কৃষির উন্নয়নে পাইলট প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। মাছের অভয়াশ্রম করতে হবে। মা মাছ সংরক্ষণে গুরুত্ব দিতে হবে। সরকার মৎস্য চাষী, খামারিদের ও অনুদান দিচ্ছে। কৃষকদের প্রনোদনা দিচ্ছে।
পলক আরো বলেন, করোনার এ সময় আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানি হাট ডিজিটাল হাট করার অনুরোধ জানান। এতে করে করোনার ঝুঁকি এবং সংক্রমন কমবে বলে আশা ব্যক্ত করেন এবং সবাইকে মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার শ্লোগানকে বাস্তবায়নের আহবান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বুধবার সকাল ১১ টায় ভার্চুয়ালে ৩০ জন কৃষককে কৃষি প্রনোদনা, ২০ টি ফুট পাম্প বিতরন ও ৮৫ টি প্রতিষ্ঠানে সরকারী অনুদানের ৮৬ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকার চেক বিতরন কার্যক্রম উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সেলিম রেজা, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডঃ এসএম খুরশিদ আলম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল আমিন সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন প্রমুখ।