গুরুদাসপুর,নাটোর নউজ:
নাটোরের গুরুদাসপুরে অবৈধভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে বিবাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রি করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের আতিকুল ইসলাম মিন্টুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সোমবার সকালে গুরুদাসপুর উপজেলা কাজী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে কাজী কল্যান সমিতির সভাপতি আলহাজ¦ কাজী মাওলানা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, বিয়াঘাট ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মৃত-আনোয়ার হোসেনের ছেলে আতিকুল ইসলাম মিন্টু। তিনি পেশায় একজন খামারী। তিনি অবৈধভাবে বিগত ৮-১০ বছর যাবৎ বিবাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রি করিয়া আসিতেছে। তিনি নিজে কোন বিবাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রার নয় এবং অন্য কোন কাজীর মহুরীও নয়। সম্পুর্ণ গোপনে অন্যায়ভাবে বিভিন্ন সময় গ্রামের বাল্য বিবাহসহ আরো অনেক রকেম বিবাহ অবৈধভাবে রেজিষ্ট্রি করিয়া দিয়ে আসছেন। এর কারণে বাল্যবিবাহের প্রবণতা গ্রামে বেড়েই চলছে।বিভিন্ন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে সরেজমীনে গিয়ে ধরার জন্য গেলে সে পালিয়ে যায়।
কাজী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী মোঃ আশরাফুল আলম বলেন,গত ৬ জুন চন্দ্রপুর ওয়াবদা সাকিনের বাবলুর মেয়ের অবৈধভাবে বাল্যবিবাহ রেজিষ্ট্রি করেছে এবং কুমারখালী হাজির মোড় এলাকায় বাল্যবিবাহ অবৈধভাবে রেজিষ্ট্রি করে মেয়ের বাবার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাছাড়াও অসংখ্য বিবাহ জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি রেজিষ্ট্রি করছে। এ ঘটনায় দ্রæত সময়ের মধ্যে আইনগত ভাবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনাও করেন কাজী কল্যাণ সমিতির সদস্যরা। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কাজী কল্যাণ সমিতির সদস্য আব্দুল হাকিম, আব্দুল বাসেদ বুলবুলসহ প্রমুখ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আতিকুল ইসলাম মিন্টু মুঠোফনে বলেন, তিনি আগে রেজিষ্ট্রি করতে এখন আর করেন না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেন বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।