নাটোর নিউজ: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বগুড়ার নন্দীগ্রামে এক প্রেমিকের সর্বস্ব লুট করলো প্রেমিকা। এ ঘটনায় থানা পুলিশ প্রতারক প্রেমিকাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে থানার অফিসার ইনচার্জ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের ভদ্রদীঘি গ্রামে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ভদ্রদীঘি গ্রামের প্রতারক প্রেমিকা মোছাঃ রিনা বেগম (৩৭), তার সহযোগী কহুলী গ্রামের লিটন হোসেন (২২), ও গোলাম রাব্বি (৩৬)।
পুলিশ ও ভুক্তভুগিরা জানায়, নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার কালাকান্দর গ্রামের আব্দুল মোত্তালেব একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকুরি করেন সিলেটে। গত দেড় মাস পূর্বে আব্দুল মোত্তালেবের সঙ্গে শিপলু সাথী নামের একটি ফেইসবুক আইডির মাধ্যমে রিনা বেগমের পরিচয় হয়। কথোপকথনের একপর্যায়ে তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর গত সোমবার সকালে সিলেট থেকে আব্দুল মোত্তালেব নন্দীগ্রাম ভদ্রদীঘি গ্রামে প্রেমিকার রিনা বেগমের বাড়িতে দেখা করতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি প্রেমিকা রিনার বাড়িতে গিয়ে জানতে পারেন তার স্বামী সৌদি আরবে থাকেন।
তখন বাড়ির ভিতরে যেতে অসন্মতি জানায় আব্দুল মোত্তালেব। এরপর স্থানীয় দুই যুবককে তার হাত ধরে আপ্যায়নের কথা বলে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা দাবি করা হয়। এরকিছুক্ষন পর ওই বাড়ীতে আরো ৪ যুবক আসে। এ টাকা দিতে রাজি না হলে তাকে চড়-থাপ্পরসহ হাত-পা বেঁধে মারপিট করে। একপর্যায়ে আবু মোত্তালেবের শার্ট প্যান্ট খুলে মোবাইল ফোনে উলঙ্গ ছবি ধারন করে। সেই ধারনকরা ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়িয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করা হয়। এসময় বন্ধুদের ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। বাকী ৮৫ হাজার টাকা দিতে না পারায় ওই দিন সন্ধ্যায় দুইটি ফাঁকা নন-জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় তারা। এছাড়া মোবাইলে থাকা একটি মেমরী কার্ড, মানি ব্যাগে থাকা একটি ব্যাংকের এটিএম কার্ড কেড়ে নেয়।
তারপরে রাতে তাকে ওই বাড়ী থেকে বের করে দেয়া হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার আব্দুল মোত্তালেব বাদী হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় বুড়ইল ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বুলু মিয়াসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।