উত্তরা গণভবনের অপরুপা পুষ্প ‘জারুল’ – খন্দকার মাহবুবুর রহমান
চলতি মাসের শুরুতে সংক্রমণের হার হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পায়। নাটোর প্রশাসন জরুরি বৈঠকে সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন নাটোর ও সিংড়া পৌর এলাকায়। তবে লকডাউন নেই জারুলের।আপন মহিমায় দৃষ্টিনন্দন এই ফুল ফুটেছে অবলীলায়।
এই মৌসুমেরই অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ফুল জারুল। গরমের মাত্রা যতই বাড়ছে জারুল ফোটার তীব্রতা ততই বাড়ে।তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে জারুলের মুগ্ধতা কমতে থাকে। জারুল দৃষ্টিনন্দন কচুরি ফুলের মতো বেগুনি শোভায় সবাইকে মোহিত করে, জারুল বুকে ধারণ করে প্রকৃতিপ্রেমিকরা।
জারুল ফুল আর ফলের বিপুল সমাহার গ্রীষ্ম প্রকৃতিকে দিয়েছে অনন্য মনোরম মর্যাদা। পাশাপাশি রসালো আম, জাম, কাঁঠাল ও ফলফলাদির সঙ্গে ফুলের মাধ্যমে প্রতি বছর নয়নাভিরাম অস্তিত্বের জানান দেয় এই জারুল ফুল।
এ বছরেও ফুলের কোনো ঘাটতি পড়েনি।তবে যারা মুগ্ধ হতো তাদের অনেকের সাথেই দেখা হওয়ার সৌভাগ্য ঘটেনি, কারণ একটাই করোনা মহামারী, আক্রান্তের ছড়াছড়ি, চলছে লকডাউন। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা।সড়কগুলোতে গণপরিবহন আর জনকোলাহল গেছে থমকে।
বিপন্ন মানুষ যেন প্রকৃতি থেকে ছিটকে যাচ্ছে। তিল তিল করে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।মানুষ বাঁচার জন্য খুঁজছে আশ্রয়স্থল। বন্ধ হয়ে আছে শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়ামের শিশু পার্কসহ সরকারি বেসরকারি নাটোরের সকল পর্যটন কেন্দ্র।
সেই পর্যটন কেন্দ্রের উল্লেখযোগ্য স্থান উত্তরা গণভবন। গণভবনের মূল ফটক পেরোলেই ডান পাশে রাজকীয় সময়ের জারুল গাছ, ফুলে ফুলে ছেয়ে নিজের অস্তিত্বকে জানান দিচ্ছে, তবে সেই সৌন্দর্য দুই বছর যাবত উপভোগ করতে পারছেনা দর্শনার্থীরা।
মহামারী করোনার প্রভাব থেকে দ্রুত মুক্তি আসবে, প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে থাকবেনা আর কোন বাধা।অচিরেই উন্মুক্ত হবে নাটোরের পর্যটন কেন্দ্রগুলি, এমন প্রত্যাশা নাটোরের বৃক্ষপ্রেমিকসহ সচেতন নাগরিকদের।