কবি যুদ্ধজয়ী
দেবাশীষ সরকার
দীনতা আজ নেই ! আকাশ, কলমিলতা, নারদের কালো জলে মীনের দীর্ঘশ্বাস!
হারিয়ে যায় ঈগল, বাজ, চিল শকুনের দল!
শেয়ালের ছায়াও নেই এখানে,
প্রাণ যায় যায় করেও কটা নেড়ি কুকুর এখনো ঘুরে ফিরে বেঁচে থাকে সেখানে ওখানে!
আত্মগ্লানী, বিশ্বাস ঝেড়ে ফেলে নবীন কবিরা আজ ফ্যান পেইজের
দ্বারে দ্বারে খুঁজে ফিরে কবিতার সমঝদার!
আহা, উহু, দারুন,অপূর্ব -উপমার বাহারী প্রশংসার ছটায়
ভেসে যায় কবির উঠোন, বারান্দা আঙ্গিনা ছেড়ে ভবিষ্যতের মহাসমুদ্র।
প্রবীণ যুদ্ধজয়ী কবির হৃদয়ে আঁকা হয় বাঁকা ঠোঁটের হাসি!
যাত্রাপথ অবরুদ্ধ!
আত্মবিশ্বাসী যুবাদের দৃপ্ততায় যে পথ নতুন পথে যাত্রা করেছিল একদিন ।
ক্ষয়িষ্ণু দীর্ঘশ্বাস হৃদয়ের খুব কাছে ঘুরে ফিরে শুধুই পাক খায়
আর মুঠো মুঠো কুয়াশার ঘ্রাণ বিষাদ গায়ে মেখে কাটায় অলস সময়।
প্রতিক্ষায় গোনে দিন -নব সঞ্জীবনীরস পাবে কি নব প্রজন্ম!
……………..,,………………………………………………………….
প্রথম সকাল
দেবাশীষ সরকার
বিজ্ঞাপনী চায়ের ঘ্রাণে মিশে যায় বৃষ্টির স্বাদ,
পত্রিকার পাতায় লেগে থাকে স্ফিত ঠোঁটের হাসি,
কেনাকাটার ধুমে ঈদ আনন্দে মাতোয়ারা তরুনের চোখ এড়িয়ে
মধ্যবিত্তের নাভিস্বাস উঠাবার অপেক্ষায় বিশিষ্টজনের
হা হুতাশ তখন সদ্য বাজটের উত্তাপে।
বুড়ো ভামের হলবলি বোয়াল মাছের হাসি আর উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা;
চিকন সেমাইয়ের সুস্বাদের শুদ্ধতার নিশ্চয়তায়।
স্বল্প বসনার কটাক্ষে তুলনাহীন প্রথমপাতার স্বাদ শেষে দেখি
আহবান স্বজনপ্রীতি বন্ধের জন্য নাকি হবে আইন।
ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, কনডমের স্বাস্থ্য বার্তার উপড়ে বিদেশ যাত্রার
ছায়াচিত্রে কেউ কেউ লাশ হয়ে যায় নামাজের আগেই।
চোখে না পড়া সিমেন্ট আর শিতল বতাসের কান্নায়
আগ্রহ হারিয়ে যায় ২৫ ঘন্টায় দিন হবার আশা।
টপে তখন অপেক্ষা আর মাত্র ৫ দিন…