ঝোড়ো বাতাস উড়ো পাতা
রত্না চক্রবর্তী
ঝিলের ধারে একটি খালি বাংলো বাড়িতে পিকনিক হবে শুনে ভূতো মামাই বলেছিলেন “ওরকম বাড়িতে অনেক সময় গন্ডোগোল থাকে। সন্ধ্যের পর কেউ যায় না। গরম জায়গা হয়। ওসব জায়গার বাতাসটা সবসময় ভালো হয় না। ” আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘিরে ধরেছিলাম, গল্পের সম্ভাবনায়। একটু তাতাবার জন্য আমার ঘরের লোক বলল ” ওফ! মামা ওই শোনা কথা “লোকে বলে ” তে আমার কোন বিশ্বাস নেই। হ্যাঁ এখন আপনি যদি দেখে থাকেন বা শুনে থাকেন তবে মানতে পারি।”
ভূতো মামা আঙ্গুল মটকাতে মটকাতে অন্যমনস্ক ভাবে বললেন ” আমি? শুনিনি কিছু। কিছু দেখেছি কি বলা যায়! তবে কিছু একটা অনুভব করেছি সেটা ঠিক। ” আমি বললাম ” তুমি গিয়েছিলে নাকি সেখানে! “
ভূতোমামা বললেন ” তবে শোন….(ভূতো মামার কথায়)
তখন আমার ইয়ংএজ, রক্ত গরম, চিরদিন গাঁয়ের বাইরে বাইরে থেকে গাঁয়ের ধ্যান ধারণা, বিশ্বাস রটনাগুলোকে কুসংস্কার বলে মনে করতুম আর তা যে খুব মিথ্যে ছিল তাও নয়। তা সেবার ছুটিতে গাঁয়ে এসে আমার বন্ধুদের কাছে কথাপ্রসঙ্গে ওই গাঁয়ের শেষের ঝিলের ধারের বাড়িটার কথা শুনি। কথা হচ্ছিল চড়ুইভাতি হবে। আমিই বললাম ” চল ওই বাড়িতেই করি, ওটা তো বেওয়ারিশ খোলা পড়েই থাকে, বছরে দুবার ওই বাড়ির মলিক লোক ডাকিয়ে পরিষ্কার করে, সন্ধ্যের সময় মস্ত একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে চলে যায়। ব্যাস। সম্পর্ক শেষ। আমরা
ওখানটা একটু পরিষ্কার করে ওখানেই চড়ুইভাতি করব। তখন প্রায় সব গেরস্থ বাড়িতেই পাখির মাংস নিষিদ্ধ ছিল আর ছেলেছোকরাদের ঝোঁক ছিল সেই নিষিদ্ধতার গন্ডি ভেঙে নিজেদের বিদ্রোহী, আধুনিক প্রতিপন্ন করা। গাঁয়ে কারো বাড়িতে সেই মুরগীর মাংস রান্না সম্ভব নয়। একদম ঝোপঝাড় জঙ্গুলে জায়গায় আমার আবার অসুবিধে হয়, নোংরা লাগে। তাই বললাম “পূর্ণিমার রাত, ওখানেই চড়ুইভাতি করব। “
শুনে গনশা বলল ” ওমা ওবাড়ি তো ভূতুড়ে বাড়ি। জায়গাটা গরম ওখানে কে যাবে? তাও রাতে! “
ভূত শুনেই রোখ চেপে গেল। বললাম “তবে তো যেতেই হচ্ছে, পিকনিকটা জমেই যাবে, কে কে ভীতু আছিস কেটে পড়, আমরা যে কজন সাহসী আছি যাব। “
এরপর আর শহুরে বন্ধুর কাছে নিজেকে ভীতু প্রমাণ করবে কে? তবু কালু বলল ” শুনেছি এক মেমসাহেবের আত্মা ওই বাড়িতে থাকে! দেখ ভুল হতেও পারে কিন্তু অকারণ ঝুঁকি নেবার দরকারটা কি? ” কৌতুহলটা আরো বাড়ল বললাম ” যাওয়া দরকার অকারণ ভয় আর কুসংস্কার দূর করার জন্য। তা গাঁয়ে মেমসাহেব কোথা থেকে এল? “
সবার কথা শুনে গল্পটা যা দাঁড়াল -বছর চল্লিশ আগে এক সাহেব চা বাগানের ম্যানেজার ছিলেন। তিনি সেখানে এক সেই দেশীয় মেয়েকে বিয়ে করেন। তখন অনেক সাহেব দেশি কুলিকামিন মেয়েদের রেখে দিত ফূর্তির জন্য কিন্তু বিয়ে করত না। সাহেব হঠাৎ বিয়ে করে বসতে আর সাহেবরা খেপে গেল। সাহেবের উপরওয়ালার নজর ছিল ওই মেয়েটার উপর। বড় সাহেবদের অত্যাচারে এই সাহেব তার দিশি মেমকে নিয়ে এখানে বাড়ি করে ছিলেন। তিনি পাটের ব্যবসা করতেন। তার একটি মেয়ে হয়। তারা গ্রামের এক ধারে বেশ ছিল, সাহেব বলে কেউ ঘাঁটাত না আবার খেরেস্তান বলে কেউ মিশতও না। কিছুকাল বাদে তার বৌ মরে যায়।সাহেব মেয়ে নিয়ে থেকেই যায়। সাহেব মিশুকে ছিলেন, গাঁয়ের মানুষদের সাথে ভাঙা ভাঙা বাংলায় কথা বলতেন।
বেশ চলছিল কিন্তু মেয়ে বড় হতে মুশকিল হল, গাঁয়ের বাহ্মণ শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠিত রামরতনের শহরে থাকা ছোটছেলের সঙ্গে কি ভাবে লুকিয়েচুরিয়ে মেয়েটির ভাবভালোবাসা হল। গোঁড়া ব্রাহ্মণ বিশাল ধনী ও প্রতিপত্তিশালী রামরতন জানতে পেরে রাগে ঘেন্নায় আগুন হয়ে গেলেন। ছেলেকে কড়া শাসন করলেন। কিন্তু তাও লুকিয়ে তাদের মেলামেশা চলতেই থাকল। এবার তিনি সাহেবকে জানালেন। সাহেব অসম্মানজনক কিছু না বললেও গুরুত্ব দিলেন না। রামরতন খবর রাখলেন। ছেলে কোথায় কি ভাবে যোগাযোগ রাখে। রামরতন কাকে দিয়ে ছেলের নাম করে ইংরাজিতে চিঠি লেখালেন মেয়েটাকে। ওই বাড়ির শেষ প্রান্তেই ঝিল, ওখানে একটা দোলনা ছিল। সেখানেই ছেলেটা রাতে লুকিয়ে দেখা করতে যেত। সেদিন রাতে মেয়েটা চিঠি পেয়ে বসেছিল সেখানে, দোলায় চড়ে দুলছিল। ছেলেটির জন্য অপেক্ষা করছিল। ছেলেটি আসে নি। এসেছিল মৃত্যুদূত।
শোনা যায় রামরতনের এক গোঁড়া ভক্ত শিষ্যকে দিয়ে রামরতন কাজটা করিয়েছিলেন। মাথায় আঘাত করে অজ্ঞান করে ওই ঝিলে ফেলে দিয়েছিলেন। তারপর সাহেবও এখান থেকে চলে যায়। ব্যান্ডেলে কোন আত্মীয়র বাড়ি থাকত। এখন কেউ নেই। মেয়েটির জন্মদিনে ও মৃত্যুদিনে এসে বাতি জ্বালিয়ে যায় ব্যান্ডেলের সেই আত্মীয় ভদ্রলোক। সেই আত্মীয় পরিবার নিয়ে এই বাড়িতে থাকার চেষ্টা করেছিল,কিন্তু টিঁকতে পারে নি। গাঁয়ের অনেকেই মেয়েটিকে ঝিলের পাশে আজও ঘুরতে দেখে।
আমি শুনে বললাম ” এই গাঁয়ের লোক একদিন অন্যায় করেছিল, এখন আমরা তার প্রায়শ্চিত্ত করব, আমরা তার সাথে বন্ধুত্ব করব। সে এসে আসুক.”।
অনেকেরই মুখ শুকালো কিন্তু ভীতু বদনামের ভয়ে বলতে পারল না চড়ুইভাতি করবে না। যখন আয়োজন করার ফর্দ করতে বসলাম তখন দেখি অনেকেই নেই। কারো পেটের প্রবলেম, কেউ দিদির বাড়ি, কেউ কোবরেজের কাছে, কেউ মামার বাড়ি। শেষে আমরা সাতজন দাঁড়ালাম। জেদের বশে বললাম ” কোই বাত নেহি, সাতজনেই হবে। রান্না খাওয়া তো হবেই আমি আর মহিম রাতে ওখানেই থাকব, ঝিলের জলে চাঁদের আলোর খেলা দেখব। ” মহিম ঘাড় নাড়ল উৎসাহে, গ্রামে ওই ছিল আমার ভক্ত, যাকে বলে চ্যালা। অন্যেরা শুনতে না পাওয়ার ভান করে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল । আমরা শনিবার দিনটা ঠিক করলাম।
বাড়ির লোকেদের প্রবল আপত্তি আর অসহযোগ। হাঁড়ি কড়া মাটির কিনতে হল, বাড়ির বাসনে ওসব ম্লেচ্ছ রান্না করা যাবে না। বিকেল থেকে মহা উৎসাহে রান্না করা শুরু হল। যোগী আর নাণ্টুর রান্নার হাত ভালো। ভোলা খুব যাত্রাপালা দেখত, সে যাত্রার গান গাইতে লাগল, গলা ভালো। মজে গেলাম সবাই। ঠান্ডাটা বেশ জাঁকিয়েই পড়েছে তার মধ্যে সামনে মস্ত ঝিল বলে আরো ঠান্ডা হাওয়া। বেশ শীত লাগছিল। রাতে দারুণ খাওয়া হল, একটু ঝাল হয়েছিল মাংসটা কি টেস্ট! ঝাল খেয়ে শীত কমল। এবার একে একে বাড়ি চলে যেতে লাগল। যোগী আর ভোলা বলল ” দেখ অনেক তো হলো এবার চল না ভাই বাড়ি যাই। যা রটে তার কিছু তো সত্য বটে। যে সাহসে কারো কোন উপকার হবে না তা দেখিয়ে কি লাভ? ” আমারও বিস্তর খেয়ে ঘুম পাচ্ছিল, রাতও প্রায় দশটা, সে সময় গ্রামে এটাই অনেক রাত, ইতস্তত করছি এমন সময় মহিম ঘাড় নেড়ে বলল ” হুঁ হুঁ…. ভূতোদাকে তেমন মানুষ পাও নি, যা বলবে তার আর নড়চড় হবে নি কো। ” আমি আর কিছু বললাম না কায়দা করে হাত নেড়ে ভাবনা চিন্তা উড়িয়ে ওদের বিদায় দিলুম।
ঝিলের দিকেই জানলাগুলো, খুব ঠান্ডা আসছিল। বন্ধ করে দিতে গেলাম, মাটিতেই শুতে হবে, অনেক খড়ের আঁটি এনে রেখেছে মহিম তার উপর চট পেতে বিছানা। বেশ একটা রোমাঞ্চ হচ্ছিল। যতদূর চোখ যায় ঝিলের জল ধূ ধূ করছে। সুন্দর কিন্তু কেমন বিষন্ন, কেমন একটা অনুভূতি হল। প্রচুর বার এমনই সব বাড়িতে গেছি, শ্মশানে গেছি, এমনকি কলকাতায় থাকতে গোরস্থানেও বেড়াতে গেছি এমন হয় নি, ভয় হয়ত দুএকবার পেয়েছি কিন্তু একটা দু:খবোধ যেন চেপে ধরছিল। জানলা দিয়ে এসে শুলাম। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেল, খটাস করে একটা শব্দে। মহিম পাশে শুয়ে ঘুমুচ্ছে। জানলাটা ভালো আটকানো যাচ্ছিল না, তাই বোধহয় খুলে গেছে। হাওয়া নেই কিন্তু ঠান্ডা আসছে খুব। উঠে জানলাটা বন্ধ করতে গেলাম। শীতের নির্মেঘ আকাশ তারায় ভরা। ঠিক তখনই একটা দমকা হাওয়া এল। ঠিক জলে ভেজা হাওয়া, জলের হালকা কণা ইলশেগুঁড়ির মতো মুখে এসে লাগল। কিন্তু জানলা থেকে অনেক দূরে দিঘির চিকচিকে জল।
ওখান থেকে জলের ছিটে কি করে আসবে! আমি চাদর মুড়ি দিয়ে বাইরের বারান্দায় এলাম। আবার একটা দমকা বাতাস এল, একগাদা ঝরা পাতা আর চন্দ্রমল্লিকা ফুলের পাপড়ি উড়ে এল। চন্দ্রমল্লিকার ছোট ছোট গাছ ছিল ঝিলের ধারে আপনিই গজিয়ে ছিল। এর ফুলের পাপড়ি ছিঁড়ে উড়ে আসে না কখন মাটিতে ঝরে পড়তে পারে অবশ্য! এবার ও বাতাসে জলের ঝাপটা, যেন সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে আছি, ঢেউয়ের ঝাপ্টা লাগল।ভেজা বাতাসের উৎস অবিষ্কার করতে পারলাম না। রহস্যময় চাঁদের আবছা আলোয় বাগান মাখামাখি । আর কোন হাওয়া নেই। অদ্ভুত ব্যাপার! এমন সময় একটা অদ্ভুত শব্দে চমকালাম। সেই আবছা আলোয় স্পষ্ট দেখলাম দিঘির ধারের দোলনাটা ঘ্যাটাং ঘট, ঘ্যাটাং ঘট শব্দে অল্প অল্প দুলছে। দোলনাটা খুব পুরোনো, ভারী লোহার। বিকেলেই দেখেছি, জঙ ধরা। ওঠা ঠিক হবে না বলেই আমরা উঠ নি।
দমকা হাওয়া হলেও ওটা দোলাটা একটু অস্বাভাবিক বলে মনে হল। ওই জায়গাটা যেন কেমন ঝাপসা লাগছে। কুয়াশা নয়। দুপা এগিয়ে থমকালাম বাগানের ঝরা পাতাগুলো ওই দোলনাকে ঘিরে যেন ঘুরছে, বাগানের আর কোথাও নেই। আর কোন বাতাস ও নেই। দোলনাটার দোলার গতি বাড়ছে, একটু একটু করে, কাউকে দেখা যাচ্ছে না। দোলা অস্বাভাবিক জোরে দুলতে শুরু করল, আর বাতাসে ভেসে এল অদ্ভুত সুন্দর একটা গন্ধ। ঠিক কোন ফুলের গন্ধ নয়, আতর ও নয়, ধূপ ও নয়।। অফিসের কাজে একবার বড়সাহেবের সাথে ম্যাকেঞ্জি সাহেবের বাড়ি যেতে হয়েছিল তখন এইরকম সুবাস পেয়েছিলাম। মেমসাহেবরা কোথায় নেমতন্ন যাচ্ছিল তারা এমন এসেন্স মেখেছিল। দোলাটা এখন খুব জোরে দুলছে যেন উড়ে যাচ্ছে, আর উড়ো পাতাগুলো দোলনাকে ঘিরে ঘুরছে। আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল। আমি এগোতেও পারলাম না আর ঘরে ঢুকে আসতেও পারলাম না। হঠাৎ চাঁদের আলোয় যেন টান পড়ল, একটুকরো হালকা মেঘ কি? দোলনাটা এত জোর দুলতে দুলতে যেন এক হ্যাঁচকা টানে থেমে গেল, থরহর করে কাঁপতে লাগল। আবার একটা ঝোড়ো বাতাস এল আর ঝিলের জলে একটা ঝপাং করে শব্দ উঠল, একটা রাত জাগা পাখি ভয় পেয়ে বোধহয় চ্যাঁ চ্যাঁ শব্দ করে উড়ে গেল। জলের কিছু হালকা শব্দ উঠল তারপর নিশ্চুপ চারধার। আমি স্তব্দ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলুম।
অনেক পরে ঘরে ফিরে শুয়েছিলুম। মহিমের হালকা নাকডাকার শব্দ শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে গিয়েছিলুম।
পরদিন বন্ধুরা দল বেঁধে আমাদের ডাকতে এসেছিল, ওরা আমাদের জন্য চিন্তায় ছিল। ওদের ডাকেই ঘুম ভাঙলো। মহিম তো খ্যাঁকখ্যাঁক করে হেসে বলল ” ওরে গাধা যত গুলতাপ্পি, ভূতফুত কিস্যু নেই, ভীতুর দল! “
ওরা সলজ্জ হাসিমুখে বলল ” ভূতোদা তোমার খ্যামতা আছে। যত্ত সব ফালতু রটনা। “
আমিও হাসলাম। ঝকঝকে রোদ তকতকে আকাশ। সত্যিই কি কিছু হয়েছিল, সেটা অস্বাভাবিক ছিল? । ভাবলাম গল্পটা শোনা, শীতের রাতে পেটগরমের খাবার…. তারই ফলশ্রুতি নয় তো! আমরা হৈ হৈ করতে করতে ঘরে ফেরার পথ ধরলাম। ফেরার আগে আমি একবার দোলনার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম।সারাটা বাগান আগাছা আর খসে যাওয়া পাতায় ভর্তি কিন্তু দোলনা থেকে ঝিল অবধি জায়গায় যেন একটা ঝরা পাতা আর চন্দ্রমল্লিকার পাপড়িতে গড়া পথের মতো হয়ে গেছে! যোগী পাশে এসে দাঁড়িয়ে দেখছিল চারদিক, সে বলল ” কি সুন্দর জায়গাটা, তোর চোখ আছে রে! কি সুন্দর একটা গন্ধ! পাচ্ছিস? কি ফুল বল তো? আমার চেনা নয়। আশেপাশে তো কোন ফুলগাছও দেখছি না! ” আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেল্লাম, যাক গন্ধটা তাহলে অন্তত মনের ভুল নয়। কাউকে কিছু বলিনি। আমি পরিচয় করতে চেয়েছিলাম তাই বোধহয়…. “
ভূতোমামা থামলেন। বাইরে শীতের রাত রিনঝিন করছে, ঘরে সন্ধ্যেয় জ্বালানো ধূপের গন্ধটা এখনও রয়ে গেছে। ভূতোমামা উঠলেন ” আজ চলি রে। ” আমার ঘরের মানুষ এতক্ষণে ফুট কাটলেন, ” গুল! তোমার গল্প বানানো ধাতটা ওনার থেকেই পেয়েছ, প্লাস ওনার পেট গরম হয়েছিল। “