নাটোর নিউজ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ ,নওগাঁ, নাটোর এর পরে এবার রাজশাহীতে করাকড়ি আরোপ করা হলো লকডাউনে। লকডাউনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বাধ্য হল শেষ পর্যন্ত জেলা প্রশাসন। মৃত্যুর সংখ্যা ও সংক্রমনের ঊর্ধ্বগতিতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। করোনাভাইরাসের উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহীতে লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় আনতে বাধ্য হল স্থানীয় প্রশাসন, এমন টাই জানিয়েছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।
আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে ১৭ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত এই এক সপ্তাহের জন্য এ লকডাউন দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় জেলায় পরীক্ষার তুলনায় সনাক্তের হার ও মৃত্যু হার বিশ্লেষণ শেষে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এ লকডাউনের ঘোষনা দেন।
নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল জানান, লকডাউনের সময় সব ধরনের দোকানপাট ও যানচলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ থেকে কোনো যানবাহন রাজশাহীতে প্রবেশ করতে পারবে না। অনুরূপভাবে রাজশাহী থেকেও কোনো যানবাহন জেলার বাইরে যাবে না। তবে রোগী বহনকারী পরিবহন ও অন্য জরুরি সেবাদানকারীর ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া রাজশাহীর নাথে রেল যোগাযোগও বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। লকডাউনের সময় বাতিল করা হয়েছে সকল ট্রেনের যাত্রা।
এদিকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমের বাজার গুলো বড় পরিসরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে বাজার পরিচালনা করতে হবে নইলে আইনের আওতায় আনা হবে। নৈশকালীন এই জরুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর, ডিআইজি আব্দুল বাতেন, নগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা।