নাটোর নিউজ: করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপসহ নাটোর ও সিংড়া পৌর এলাকা বিশেষ লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ও লকডাউন নিশ্চিতকরনে ৩৫ জনকে অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দিনভর পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে এসব ব্যক্তির কাছে থেকে ২২ হাজার ২ শ টাকা আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা খাতুন, বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম,সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিউল ইসলাম ও সিংড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি রাকিবুল ইসলাম ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রেহানা মজুমদার।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট শরিফ শাওন জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপসহ নাটোর ও সিংড়া পৌর এলাকা বিশেষ লকডাউন ঘোষনা সহ অন্যান্য উপজেলায় স্বাস্থ্যবিধি আরোপ করা হয়। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা খাতুনের নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করায় দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারায় তিনটি মামলায় ৫ জনকে ৯শ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রহিমা খাতুন এসময় মানুষকে চলমান বিধি নিষেধ প্রতিপালনের উদ্দেশ্য সচেতন করা সহ মাস্ক বিতরণ করেন।
তিনি আরো জানান, লকডাউন নিশ্চিতকরনে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রেহানা মজুমদার এর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে মোট ৯ টি মামলায় অভিযুক্ত ১০ জনকে মোট ১১৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে সিংড়া পৌর এলাকায় ঘোষিত লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিউল ইসলাম ৭ জনকে ৫ হাজার টাকা এবং সহকারী কমিশনার ভুমি রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে মোবাইল টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৮ জনকে ৪ হাজার একশ টাকা জরিমানা করেন।
এছাড়া বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে মোবাইল টিম পরিচালনা করে ৫ জনকে ৯০০ টাকা জরিমানা করেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ জানান, করোনা সংক্রমন না কমা পর্যন্ত আমাদের বিভিন্ন প্রতিরোধ মূলক কার্যক্রম চলবে। সবাইকে বোঝাতে হবে, মাধারন মানুষের জীবন ও জীবীকার কথা ভেবে এতোদিন কঠোর লকডাউন বা বিধি নিষেধের আওতায় আনা হয়নি নাটোরকে। কিন্তু এখন নিয়ম না মানলে জীবন বাঁচবে না তাই জনসাধারণকে মাস্ক পরানোয় উৎসাহিত করতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া কর্মহীন সাধারন মানুষদের সহায়তার জন্য এরই মধ্যে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে পৌরকতৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী এটি বিতরণ চলছে বলেও জানান তিনি।