করোনায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু, লকডাউন ২য় দিনে
স্টাফ রিপোর্টার নাটোর:
নাটোরে করোনা আক্রান্ত হয়ে গতকাল দুই জনের মৃত্যুর পর গত ২৪ ঘন্টায় আবারো দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় নাটোরে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন মোট চার জন। আর জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২ জনে।
গতকাল বিকেলে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মারা যান সদর উপজেলা প্রকৌশল অফিসের কার্যসহকারী নবী আহমেদ ও রাতে নাটোর সদর হাসপাতালে মারা যান উত্তম কুমার সরকার নামে বঙ্গজল এলাকার এক বাসিন্দা। বাবার নাম পঞ্চানন সরকার।
সচেতন সমাজ বলছেন, মৃত্যুর সংখ্যা এবং লাইন দীর্ঘ হলেও সচেতনতার বালাই নেই সাধারণ মানুষের মধ্যে। চলছে কঠোর লকডাউন কিন্তু নানা অজুহাতে মানুষ বাহিরে বের হচ্ছেন। তারা বলছেন শুধুমাত্র পৌর এলাকায় লকডাউন দিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। এজন্য অন্তত সাতটা দিন পুরো জেলা কঠোর লকডাউন এর আওতায় আনা উচিত ছিল।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও নানা অজুহাতে বাহিরে বের হওয়ার জন্য লকডাউনের প্রথম দিনে ৪২ জনকে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তাছাড়া নাটোর ও সিংড়া পৌর এলাকার প্রবেশমুখে পুলিশি তৎপরতার দেখবার মতো হলেও গলি ঘুপছি পথ দিয়ে শহরের রাস্তায় প্রবেশ করছে অটো ভ্যান রিক্সা। হয়তো সকালবেলা কৃষি পণ্য নিয়ে শহরে প্রবেশ করেছেন যে ভ্যান রিক্সা অটোরিক্সা সেগুলো সারাদিন আর বাসায় ফিরছে না।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬২ জনের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। শতকরার হিসেবে যা ৩২ ভাগ। জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ৪৭ জন। এরমধ্যে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৪১ জন। ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছেন নাটোরের ১৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। অন্যরা হোম কোয়ারেন্টাইন অথবা অন্যান্য হাসপাতলে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নাটোর সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার আর এম ও ডাক্তার মনজুরুল রহমান জানান, উত্তম কুমার নাটোর সদর হাসপাতালে করোনা ইউনিটের ইয়োলো জোনে ভর্তি ছিলেন। তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার আগেই সে মারা গিয়েছে। তবে উত্তম কুমারের ঘনিষ্ঠজনরা জানান তার লক্ষণ এবং সংক্রমণ করোনা আক্রান্তদের মতোই ছিল।
স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ও জনগণকে ঘরে রাখবার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।