জমি আছে ভাত নাই,এদের দিকে নজর চাই
নাহিদুল ইসলাম
মাজা পুকুর সংস্কার হবে কোন কথা নেই, কাটুন। ডোবা জমি আবাদ হয়না পুকুর কাটুন সমস্যা নেই। কিন্তু ৩ ফসলী জমিতে পুকুর! কেন ভাই ? নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কয়েক শ বিঘা তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করে মাছ চাষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে কিছু অসাধু প্রভাবশালী মহল।এগুলো বন্ধ করতে হলে এখনি প্রয়োজন সঠিক জমিতে, যে সকল জমিতে সারা বছর পানি জমে থাকে , মাজা পুকুর, জলাবদ্ধ জমি সেগুলোকে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সেই জমিগুলোতে পুকুর খননের অনুমতি দিন।
শত শত বছরের তিন ফসলি জমি গুলোতে এলাকার কৃষকেরা আউশ,আমন, ইরি-বোরো ধান ও সরিষা সহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করে আসছেন অথচ এসকল তিন ফসলী জমির মালিকদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে বাৎসরিক চুক্তিতে লিজ নিয়ে এবং কারো কারো কাছ থেকে ভয় ভীতি প্রদর্শন পূর্বক কম দামে জমি ক্রয় করে সরকারী আইনকে তোয়াক্কা না-করে তিন ফসলি কৃষি জমিতে পুকুর খনন করেছে।
কিন্তু এর বাইরে কিছু জমি রয়েছে যেখানে বর্ষায় সব সময় এক মাজা কোমর পানি জমে থাকে যার কারণে চাষাবাদ করা যায় না।কৃষকদের জমি আছে অথচ জমি থাকার পরও এখান থেকে দু’মুঠো খাবার জোটে না। বিভিন্ন দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতে হয়।ছেলে-মেয়ে দেরকে লেখাপড়া করার জন্য যে পয়সা খরচ হয় তাও তারা ঠিকমত জোগান দিতে পারি না।
বড়াইগ্রামের চিনিডাঙ্গা বিল,কৈরার বিল,গুড়ুমশৈল চান্দাই,কচুভিটা বিলের কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায় বিলের মাঝখানে যে জমিগুলোতে তাদের কোন ফসল হয় না এবং জমি চাষ করে পেটের ভাত হয় না। তাই সেই জমি গুলোতে পুকুর খনন করে পেটের দুমুঠো ভাত এবং ছেলেমেয়েদেরকে লেখাপড়া করিয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চায়।
করোনাকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশে অনাবাদি জমি ফেলে রাখা যাবেনা।প্রতি ইঞ্চি মাটিকে উৎপাদনের আওতায় আনতে হবে।তাই যেসকল অনাবাদি জমি পড়ে থাকে সে গুলোতে যথাযথ উদ্যোগ নিয়ে মৎস্য চাষ করলে কৃষকদের যেমন ভালো, তেমনি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।
নাটোরের জেলা প্রশাসক,বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রশাসন বড়াইগ্রাম নাটোর এর দৃষ্টি আকর্ষন করছি, দয়া করে এসকল কৃষকদের দিকে একটু তাকান আর পরিকল্পিত ভাবে বিলের যে সকল জমিতে সারা বছর পানি জমে থাকে , মাজা পুকুর, সেগুলো সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সেই জমিগুলোতে পুকুর খননের অনুমতি দিন। নইলে ৩ফসলী জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করতে পারবেন না। রাতের আঁধারে চুরি করে চলবে পুকুর খনন।