গুরুদাসপুর, নাটোর নিউজ: নাটোরের গুরুদাসপুরে বাড়ীতে ঢুকে পান্না বেগম নামে এক শক্ষিকাকে মারধর ও তার দুই হাতে এসিড নিক্ষেপ করে ঝলছে দিয়েছে দুবৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার গুরুদাসপুর বাজার এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত গৃহবধূর দুই হাতসহ শরীরের বিভিন্নস্থান এসিডে পুড়ে গেছে। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাতরাচ্ছেন। আহত পান্না বেগম শহীদ সাত্তার রেকায়েত প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও ওই এলাকার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত গৃহবধূ পান্না বলেন, সম্প্রতি আমি স্থানীয় এনজিও থেকে ৯৯ হাজার টাকা লোন করা হয়। এরপর থেকে স্থানীয় বখাটে মিলন, পান্না বেগমের কাছে টাকা দাবী ও ভয়ভিতি দেখায়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে মিলন তার কাছে টাকা পায় বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালায় ও জোর করে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরনেওয়ার চেষ্টা বরে। আর সেই সই না দেওয়ায় আমাকে মারপিট করে শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে মিলন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। শুধু তাই নয়, বাড়িঘর ভাংচুর করে নগদ টাকা ও ৫ ভরি গহনা লুট করে নিয়ে গেছে মিলন বাহিনী। মিলন (৩৫) পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারপাড়ার কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদের ছেলে।
পাশের বাড়ির মনিরা খাতুন বলেন, বাড়ির পূর্ব দিক থেকে প্রাচীর টপকে এসে মুহুর্তের মধ্যে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এ সময় শফিকুলের ছেলে সিজান (১০) ও মেয়ে জুম্মা (২) আমার বাসার উঠানে খেলাধুলা করছিল।
আহত পান্নার স্বামী শফিকুল ইসলাম নাটোর প্রাণ কম্পানীতে চাকরি করেন। তিনি মুঠোফোনে বলেন, সম্প্রতি আমার স্ত্রীর মাধ্যমে স্থানীয় এনজিও জাগরনী চক্র থেকে ৯৯ হাজার টাকা লোন উত্তোলন করি। সে সময় মিলন তাকে সহযোগিতা করেন। এরপর থেকে মিলন বিভিন্নভাবে আমাদের কাছ থেকে টাকা পাবে বলে মিথ্যা প্রচার চালায়। তাকে টাকা না দেওয়ায় আমাদের ওপর নানাভাবে ব্লাকমেইল করে আসছিলেন।
এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মিলনের বড়ভাই এমদাদুল হককে আটক করা হয়েছে। মিলন ও তার সহযোগীদের আটকের চেষ্টা চলছে।