তৌহিদ, নওগাঁ, নাটোর নিউজ : নওগাঁর মান্দা ও নিয়ামতপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ জন ও অপর উপজেলা রাণীনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে দুপূরের মধ্যে এই নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পৃথক ঘটনায় পৃথক থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতরা হলেন, বকুল হোসেন (২৫) রাজশাহীর তানোর উপজেলার রায়চাঁনপুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে, নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার উষ্টি পাড়া গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে মো: মিনহাজুল (৪৮) এবং রাণীনগর উপজেলার গোনা দিঘীপাড়া গ্রামের কুনু সরদারের ছেলে নৈশপ্রহরী কোরবান সরদার (৩৬)।
মান্দা: বকুল হোসেন নিজ গ্রামের বাড়ি রায়চাঁনপুর থেকে মোটরসাইকেল যোগে শ্বশুর বাড়ি মান্দা উপজেলার তেুঁতুলিয়া গ্রামে যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থল নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের চৌদ্দমাইল পেট্রোলপাম্প এলাকায় পৌঁছালে নওগাঁ থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। বুধবার দুপূর ২ দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিয়ামতপুর: উপজেলার নিমদিঘি বাজার থেকে মো: মিনহাজুল ও একই এলাকার শাহিন আলমকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়িতে যাওয়ার পথে মন্দাকান্দা নামক স্থানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত হন মোঃ মিনহাজ ও শাহিন আলম। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাদের নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে মোঃ মিনহাজকে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। মোটরসাইকেলের পিছনে বসা থাকা মোঃ শাহিন আলমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। নিয়ামতপুর থানার ওসি হুমায়ন কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
রাণীনগর: উপজেলার সদর বাজারের বটতলী এলাকায় প্রায় পাঁচ মাস আগে কে এছাহক টাওয়ারের ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তখন থেকে ওই টাওয়ারে ভবনে কোরবান সরদার নৈশপ্রহরী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বুধবার সকাল ৬ টার দিকে নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানি সেচ দেওয়ার জন্য মটরের লাইন দিতে বিদ্যুতের বোর্ডে মটরের প্লাগ লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্টে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিন আকন্দ।