বিকলাঙ্গ ঈশ্বর
দেবব্রত সুবীর
বিকালাঙ্গ এক সময় পাড়ি দিতে হচ্ছে আমাদের,
মগজে চলছে স্বর্গীয় ব্যেশার চাষাবাদ।
ব্যর্থ চিন্তারা মুখ লুকায় অন্ধকারে।
বিকাশের ভাবনা পথর চাপ পড়েছে,
সবুজ শরীর বিবর্ন হলুূদ হয়ে গেছে,
আমাদের ভাবনা গুলো এলোমেলো ছুটছে কোথাও
গন্তব্য হীন করে তুলেছি আশার ভেলা,
ক্রমেই সত্যরা সব পরাজিত হচ্ছেআজ
আবোলিলায় মিথ্যারা উচ্চ কন্ঠ।
চিন্তার পোষাক কেমন হয় জানো?
ভয়ংকর রকমের সাদা।
আমি ঘোষণা করছি ঈশ্বর মহান
তিনিই একমাএ এাণ কর্তা
আমি যা করি তা আমার ঈশ্বর করেন,
আমি তার সুমহান গোলাম
আমি ক্ষুধার্ত আমার ঈশ্বর মিথ্যা,
আমি দুর্বল আমার ঈশ্বর শক্তিহীন,
আমি বন্চিত আমার ঈশ্বর কৃপণ,
আমি শ্রীহীন আমার ঈশ্বর কুৎসিত।
আমি যা তাই আমার ঈশ্বর,
ব্যর্থ চিন্তারা পথ খুজে পায়নি এই অন্ধকারে,
বিকালাঙ্গ শিশুর ভবিষ্যৎ ভাতার পাঁচশ টাকা,
আমি কোন জবাব দিহিতা করতে আসিনি,
আমি আমার ইচ্ছায় আসিনি,
মগজের ভেতরে বিকলাঙ্গ ঈশ্বরের আস্ফালন
তোমাকে বাঁচাবই, গড়বই।
এত মানুষের এত এত ঈশ্বর,
ভীষণ বিপদে আছে মানুষ।
নস্ট এক ঈশ্বর নিজেকে সর্বশ্রেষ্ঠ ঘোষণ করেছে।
আমরাও শকুন এর মতো,
কাকের মত ময়লা পরিষ্কার এ ব্যস্ত।
ঈশ্বর তুমি থাকো শয়তানের বন্ধু হয়ে,
আমাকে কয়টি শশ্যর বীজ দাও,
আমি থাকি ক্ষুধার বন্ধু হয়ে।
বিকলাঙ্গ ঈশ্বর
৩০/০৫/২১
দেবব্রত সুবীর