আকাশ তোমায় দিলাম
আগমণী ধর
মৃন্ময়,
আকাশ দিলাম তোমায়,
হাতে নাও,
দেখ তোমার শৈশবকাল
কিংবা কৈশোরবেলা নয়তো তারুণ্যসুলভ গোধুলিকা অথবা বার্ধক্যপ্রাপ্ত অপরাহ্ণ।
জানতো মৃন্ময়,
যে আকাশ তোমার খেলার মাঠ হয়েছিল শৈশবে
তুমি হয়তো সেখানে সাজিয়েছিলে ছেলেবেলার কাল্পনিকতা।
কখনো সে আকাশের ভেসেচলা মেঘ হতো ডানাকাটা পরী কখনওবা হাতির পাল নয়তো বৃক্ষশোভিত পল্লীর অপরুপ রুপলাবণ্য।
সে সময় তূমি দৌড়ালে আকাশের চাঁদ সূর্য দৌড়াতো তোমার পিছুপিছু। সে ছিল এক আনন্দবেলা।
আজ এই শেষবেলায় কর্মক্লান্তির ভীরে আবার চোখ রেখো সেই আকাশে।
কি দেখবে বলতো!
দেখবে অসীমতা।
ঠিক তোমার মতো।
নিজের মনের মতো এখনও সেখানেই নাও ভিড়িও এতটুকুন শান্তি সেথায় পাবেই আমি কথা দিলাম।
এ আকাশ তাই আজ তোমায় দিলাম।
আরও একবার একচিলতে হাসি ফুটুক তোমার চাহনিতে।
তৃপ্তির শিহরণ লাগুক তোমার মনবাতায়নে।
তুমি আর একবার সুখি একজন হয়ে উঠো এই পড়ন্ত বিকেলে।
মৃন্ময়,
হাত দাও আকাশ তোমায় দিলাম।