লগ্ন গোধূলি, অতঃপর/
কাজী আতীক।
দরোজায় কি টুকা দিলো কেউ? এই অসময়ে?
তিথি না মেনে যে আসে সেইতো অতিথি!
তাহলে ডোরবেল না বাজিয়ে টুকা দেবে কেনো?
নাহ, হয়তো মনের ভুল।
মনের ভুল? তাহলে কানে কেনো শুনতে পেলাম আমি?
অতঃপর দরোজাটা খুলে- চিচিং ফাঁক, কেউ ছিলো না দাঁড়িয়ে।
এই কি তবে বার্ধক্য বিকার? লগ্ন গোধূলির বিভ্রম?
সময় শেষের ঘণ্টা ধ্বনি? এক আগাম হুঁশিয়ারি?
শুনেছি প্রৌঢ়ত্বের একাকীত্ব যখোন পেয়ে বসে কাউকে, এরকম হয়।
কিন্তু আমি কেনো একা হতে যাবো? আমিতো ভরা সংসারেই আছি।
তবে কি আমি একাই ছিলাম আদি আন্ত?
বিশেষ কারো সান্নিধ্য বঞ্চিত? স্বজন পরিবেষ্টিত তবু একা এক যাপন?
হয়তো বিশেষ কারো অপেক্ষায় কেটে গেছে এই একটি জন্ম আমার?
তবে হয়তো অচিরেই-
ভিন্নরকম এই একাকীত্ব, সেই সান্নিধ্য প্রত্যাশা আর এই আজন্ম অপেক্ষা
পিছনে পড়ে থাকবে সব, যখোন চোখগুলো জ্যোতি হারাবে
গতি হারাবে রক্ত সঞ্চালন আর স্পন্দন হারাবে হৃদয়।
অতঃপর সেই তিনটি অমোঘ প্রশ্নের মুখোমুখি,
মান রাব্বুকা? মান দীনুকা? মান হাযার রাজুল?
কে তোমার রব? কি তোমার দীন? আর কে উনি?
ওই যে সুষমামণ্ডিত নূরানি চেহারা যার, তাঁকে চিনতে পারো কি?
আচ্ছা! এখোনই যা ভুলো মন, ওসব কি মনে থাকবে তখোন?
(নিউ ইয়র্ক, ২৮ মে, ‘২০২১)