বর্তমান আন্দোলন বিষয়ে প্রস্তাব ও প্রত্যাশা- সুখময় রায় বিপ্লু
রোজিনা ইসলামকে কেন্দ্র করে জাতির সামনে যেসব জরুরি বিষয় এর যথাযথ মিমাংসার প্রশ্নটি হাজির হয়েছে, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কিছু প্রস্তাব।
রোজিনা ইস্যুতে দেশব্যাপী গড়ে ওঠা সম্ভাবনাময় চলমান ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন কেবল রোজিনার জামিনে মুক্তিতেই থেমে গেলে চলবে না। বরং এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে যে সব জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এসেছে, সেসবের সন্তোষজনক যৌক্তিক মিমাংসা নিশ্চিত কল্পে আন্দোলনকারী অগ্রণী শক্তির নেতৃত্বকে দূরদর্শী বিচক্ষণতায় আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই বলেই মনে করি।
যেমন,
১. রাষ্ট্রের গণবিরোধী চরিত্রের আশু মেরামত বা পরিবর্তন ;
২. রোজিনার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তাঁকে যারা হয়রানি-হেনস্থা-নাজেহাল-অপদস্ত ও ক্ষতিগ্রস্থ করেছে তাদের গ্রেফতারসহ বিচারের ব্যবস্থা করা ;
৩. অকার্যকর হয়ে পরা তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ আরো বিস্তৃত আরো সহজলভ্য ও বাস্তবে যথাযথ প্রয়োগযোগ্য করে তোলা ;
৪. সাথে সাথে সামনে আসা সংবিধানের মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত ৩৯এর বিধান কার্যকর করানো, যে বিধান মতে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাসহ প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান এর মতো অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা কিনা কার্যত কুখ্যাত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারার কারণে বাস্তবে শুধুমাত্র কাগুজে বিষয় হয়ে রয়েছে। কাজেই সংবিধানের ঐ মৌলিক অধিকারের প্রকৃত কার্যকারিতা সত্যিকার অর্থে জাতীয় স্বার্থে জারি রাখার জন্য ঐ ডিজি.নিরা.আইন বাতিল করা একান্ত অপরিহার্য করে তোলা ;
৫. জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার শতভাগ নিশ্চয়তা বিধান কল্পে স্বাস্থ্য বিভাগের সকল প্রকার দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার উচ্ছেদ ;
৬. অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছাসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর দেশে-বিদেশে সব সম্পদের শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং কানাডার বেগম পাড়ায় যাদের সম্পদ-সম্পত্তি রয়েছে, তাদের পরিপূর্ণ তালিকা প্রকাশ ;
৭. আসন্ন জাতীয় বাজেটে সামরিক খাতে ব্যয় বরাদ্দ কমিয়ে জনস্বাস্থ্য-শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ কৃষি ও শিল্প খাতে অধিক বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ সামরিক বাহিনীর রেটে গ্রামে-শহরে রেশরিং ব্যবস্থা পুরোপরি বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি।
বর্ণিত বিষয়গুলি আন্দোলনকারী শক্তি বিবেচনায় নেবেন এটুকুই প্রত্যাশা।