আর্তনাদ
সুবর্ণ কুমার মজুমদার বর্ণ
কেড়ে নিলে তার বাবাকে!
কী দোষ বলো ছিল শিশুটির?
দোষ যদি হয় সৃষ্টির তবে দায়ও থাকে স্রষ্টার!
নিরাকার ব্রহ্মে বিরাজিত রহো তুমি
পরমাত্মে ক্ষুদ্রাতি হলেও সাকারে;
দু’ বছরী ছেলেটা খুশিতে হাসিত
বাবার আদরে বসিয়া মাতৃক্রোড়ে,
এক অজানা ঝড় আসিল বিরহী শহরে
তার রূহু কেড়ে নিলে তুমি আজ ভোরে।
আমার অন্তর কাঁদিছে সদা
একবার কোড়ে না নিবার ব্যথায়,
কয়েক দিনের স্মৃতির বেদনে
পাহাড় ভেঙে পড়িল আমার মাথায়।।
কাঁদিছে হৃদয় কাঁদিছে আকাশ
ঝরঝর বৃষ্টির মতো বিরহীর চোখে,
বেদনার বেদন শুধু বিরহীই বোঝে
ব্যথার শেল্ বিঁধেছে যাঁর বুকে।।
তুমিই তো প্রভু রচিছো সংসার
করিছ নিত্য অবতার,
রোষে না দোষে তুমি কর সংহার!
বুঝি না আমি তোমার এ বিচার?
আমি গণিত বুঝি না, অবগত নই বিজ্ঞান ;
জীবন ধারাপাতে যোগ বিয়োগের খেলায়
তমঃ রজোগুণ পাপপুণ্যের হিসাব- নিকাশ,
জীবন জ্যামিতির কোন চক্রে হয়
একটি নিষ্পাপ শিশুর বাবার জীবনাবসান ???
শহীদ নিয়ামত সড়ক
পশ্চিম জয়দেবপুর গাজীপুর মহানগর।